, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


অপকর্ম বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ওসি

  • আপলোড সময় : ১২-১০-২০২৩ ০৬:১৮:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৩ ০৬:১৮:৫৪ অপরাহ্ন
অপকর্ম বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ওসি ছবি: সংগৃহীত
নাটোর সদর থানার ফুটেজ এবং ওসির বক্তব্য নিতে গেলে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের সাংবাদিক ও নাটোরের ইউনিক প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ কুমার সরকারের মোবাইল এবং তার ক্যামেরাম্যানের কাছ থেকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ। এসময় ওসি নাছিম চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সজিবুর রহমানের সাথে ধাক্কাধাকিও করেন। 

পরে ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম এসে ক্যামেরা ও মোবাইল ফেরত দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের সাংবাদিক দেবাশীষ কুমার সরকার বলেন, আজ সকালে নাটোর থানা পুলিশের অপকর্ম বিষয়ে প্রতিবেদন করার জন্য থানার ভিডিও ফুটেজ এবং ওসির বক্তব্য নিতে গেলে ওসি নাছিম আহমেদ উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং তার ব্যক্তিগত মোবাইল এবং টেলিভিশনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ক্যামেরাম্যান সজিবুরকে ধাক্কাধাক্কি করে ওসি নিজেই। 

পরে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ক্যামেরা একই থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদৎ হোসেনের জিম্মায় রেখে বাইরে চলে যান। 

এরপর পুলিশরে উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ওন্ড অপারেশন) শরিফুল ইসলাম থানায় এসে থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদৎ হোসেনের কাছ থেকে মোবাইল এবং ক্যামেরা নিয়ে সাংবাদিক দেবাশীষের কাছে ফিরিয়ে দেন।  ওসির এমন কান্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন ‘এসপি স্যার সারদায় আছেন আইজিপি স্যারের অনুষ্ঠানে।  সেখান থেকে ফিরলে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।“

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউনিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ জানান, এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর হুমকি ও হস্তক্ষেপের সামিল। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তিনি ওসি নাসিমা আহমেদের প্রত্যাহার দাবি করেন। নইলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 

নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ বলেন, “আমি মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলছিলাম।  এসময় তিনি সেলিমের বিরুদ্ধে কয়টা মামলা আছে জানতে চান এবং ক্যামেরাম্যান এসব রেকর্ড করছিলো। সেকারণে তাদের মোবাইল এবং ক্যামেরা একজন উপপরিদর্শকের কাছে দিয়ে যাই। অফিসে ঢুকেই কথপোকথন রেকর্ড করা তো ঠিক না। আমি দুঃখ পেয়েছি।